তৃতীয় বিশ্বের বৈশিষ্ট্য

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের  অবসানের পর পৃথিবী পরস্পর দুটি শিবিরে ভাগ হয়ে যায়একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে প্রথম বিশ্ব অন্যটি সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে দ্বিতীয় বিশ্ব নামে পরিচিতি পায় এই দুই শিবিরে যোগ না দিয়ে সদ্য স্বাধীন দেশ গুলি নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করে এবং বিশ্বে সাম্রাজ্যবাদ ও বর্ণবৈষম্য বিরোধী শিবিরের জন্ম দেয় এই শিবির তৃতীয় বিশ্ব নামে পরিচিত এর বৈশিষ্ট্য গুলি নিম্নরূপ -

1. এই দেশগুলো নিজেদের মধ্যে ন্যাম (জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন) গড়ে তোলে, যেখানে অগ্রগণ্য ছিলেন ভারতের জওহরলাল নেহেরু, ইন্দোনেশিয়ার সুহার্তো এবং যুগোস্লাভিয়ার জোসিপ ব্রজ টিটোর মতো নেতারা।

2. তৃতীয় বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই আগে ছিল অন্য কোনো বড় ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত।  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মাত্রই তারা স্বাধীনতা লাভ করেছিল। ফলে অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত দিক দিয়ে তারা স্বভাবতই অনেক পিছিয়ে ছিল।

3. তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো অধিকাংশই উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত। 

4.তৃতীয় বিশ্ব পরিভাষাটির প্রথম প্রয়োগ এবং সংজ্ঞায়নের পেছনে ভূমিকা ছিল ফরাসি জনতত্ত্ববিদ ও ইতিহাসবিদ আলফ্রেড সউভির। ১৯৫২ সালের ১৪ আগস্ট ফরাসি ম্যাগাজিন L'Observateur-এ তিনি এই পরিভাষাটি ব্যবহার করেন। এর মাধ্যমে তিনি নির্দেশ করেছিলেন সেই দেশগুলোকে, যারা স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সাম্যবাদী সোভিয়েত ব্লক কিংবা পুঁজিবাদী ন্যাটো ব্লক কারো সাথেই যোগ দেয়নি।

5.তখনকার দিনে ফ্রান্সে পাদ্রীবর্গকে প্রথম এস্টেট, আর অভিজাত শ্রেণীকে দ্বিতীয় এস্টেটের অংশ মনে করা হতো। এদের বাইরে সাধারণ মানুষ যারা ছিল, তাদেরকে বিবেচনা করা হতো তৃতীয় এস্টেটের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে।


Comments

Popular posts from this blog

1917 খ্রিস্টাব্দে বলশেভিক বিপ্লবের সাফল্যের কারণ

1905 খ্রিস্টাব্দের রুশ বিপ্লবের কারণ

1940 খ্রিস্টাব্দে লাহোর অধিবেশনের ঐতিহাসিক তাৎপর্য