ইতালির ফ্যাসিবাদ
ফ্যাসিজম বা ফ্যাসিবাদ হচ্ছে একটা চরমপন্থী, জাতীয়তাবাদী, কর্তৃত্বপরায়ন রাজনৈতিক মতাদর্শ। এই দর্শন সবকিছুকেই রাষ্ট্রের নামে নিজেদের অধীন বলে মনে করে। রাষ্ট্র হচ্ছে বর্ম, নেপথ্যে থাকে একটি সর্বগ্রাসী দল বা গোষ্ঠী, ফ্যাসিবাদ যাদের আদর্শ। ফ্যাসিবাদে রাষ্ট্রের গুরুত্বের ওপর জোর দেয়া হয়। ফ্যাসিবাদ সেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতির বিরোধী, যে গণতন্ত্রে জাতিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে বিচার করা হয়। এখানে ভিন্নমতের কোন ঠাঁই নেই। এ জন্য ফ্যাসিবাদে ভিন্নমতকে সহ্য না করে দমন করা হয়।
(ক) রাষ্ট্রের মর্যাদা বৃদ্ধি করা,
(খ) কমিউনিস্ট প্রভাব থেকে ইটালিকে মুক্ত রাখা,
(গ) বিশ্বের দরবারে ইটালিকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে উপযুক্ত বিদেশনীতি প্রণয়ন করা,
(ঘ) ব্যক্তিগত ধনসম্পত্তি সুরক্ষিত করা ইত্যাদি ।
প্যারিস শান্তি সম্মেলনে সম্পাদিত চুক্তিগুলির দ্বারা স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয় নি । প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সর্বনাশা পরিণাম যথা— লোকক্ষয়, সম্পত্তিবিনাশ, শিল্পের ধ্বংস, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি, বেকারত্ব প্রভৃতি ইউরোপের নানা দেশে সমস্যা তীব্রতর করে তোলে । ফলে ওই সব দেশে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির উদ্ভব হয় । সমসাময়িক কালে এই প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি ইটালি ও জার্মানিতে প্রবল হয়ে উঠেছিল ।
ইতালির রাজনৈতিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে অস্থিরতা ছাড়াও জার্মানিতে হিটলারের নেতৃত্বে নাৎসি শক্তির উত্থান মুসোলিনি কে সাহসী করে তুলেছিল এবং 1934 সালে তিনি সমস্ত ন্যায়-নীতি বিসর্জন দিয়ে আবিসিনিয়া দখল করেন এবং আন্তর্জাতিক ইতিহাসে এর প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী।এইভাবে ইতালির সামরিক পরিস্থিতি ও জার্মানিতে হিটলারের নেতৃত্ব প্রভৃতি পরিস্থিতি ইতালিতে ফ্যাসিবাদএর উত্থানের পটভূমি রচনা করতে সহায়ক ও তৎপর হয়েছিল ।
ফ্যাসিস্ট আদর্শ :-
ইতালির রাজনৈতিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে অস্থিরতা ছাড়াও জার্মানিতে হিটলারের নেতৃত্বে নাৎসি শক্তির উত্থান মুসোলিনি কে সাহসী করে তুলেছিল এবং 1934 সালে তিনি সমস্ত ন্যায়-নীতি বিসর্জন দিয়ে আবিসিনিয়া দখল করেন এবং আন্তর্জাতিক ইতিহাসে এর প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী।এইভাবে ইতালির সামরিক পরিস্থিতি ও জার্মানিতে হিটলারের নেতৃত্ব প্রভৃতি পরিস্থিতি ইতালিতে ফ্যাসিবাদএর উত্থানের পটভূমি রচনা করতে সহায়ক ও তৎপর হয়েছিল ।
ফ্যাসিস্ট আদর্শ :-
(ক) রাষ্ট্রের মর্যাদা বৃদ্ধি করা,
(খ) কমিউনিস্ট প্রভাব থেকে ইটালিকে মুক্ত রাখা,
(গ) বিশ্বের দরবারে ইটালিকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে উপযুক্ত বিদেশনীতি প্রণয়ন করা,
(ঘ) ব্যক্তিগত ধনসম্পত্তি সুরক্ষিত করা ইত্যাদি ।
Comments
Post a Comment