মিউনিখ চুক্তি
১৯৩৩ সালে হিটলার ক্ষমতায় এলো। এর পরই জার্মান ফ্যাসিজম আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদের আক্রমণকারী শক্তি এবং যুদ্ধের প্রধান প্ররোচকের ভূমিকা গ্রহণ করল। ফ্যাসিস্ট একনায়কত্ব বড় বড় পুঁজিপতিদের স্বার্থ রক্ষা করছিল এবং বুর্জোয়া শাসনের সবচেয়ে আগ্রাসী ও সন্ত্রাসবাদী রূপ পরিগ্রহ করেছিল।
জার্মানি একের পর এক আগ্রাসন নীতি অনুসরণ করে ও ইঙ্গ-ফরাসি তোষণনীতির সুযোগ নিয়ে প্রথমে অস্ট্রিয়া দখল করে । তারপর চেকোশ্লোভাকিয়ার কাছ থেকে সুদাতেনল্যান্ড দাবি করে । সুদাতেন ছিল জার্মান অধ্যুষিত অঞ্চল । জার্মানদের স্বার্থ রক্ষায় হিটলার সুদাতেনে যুদ্ধ প্রস্তুতি শুরু করে । উদ্বিগ্ন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নেভিল চেম্বারলেন বার্লিনে উপস্থিত হয়ে জার্মানির সর্বাধিনায়ক হিটলারকে নিরস্ত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেন । কিন্তু তাঁর এই প্রয়াস ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় । শেষ পর্যন্ত ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দের ২৯ শে সেপ্টেম্বর ইটালির ফ্যাসিস্ট ডিক্টেটর মুসোলিনির মধ্যস্থতায় জার্মানির মিউনিখ নামক শহরে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নেভিল চেম্বারলেন ও ফরাসি প্রধানমন্ত্রী দালাদিয়ের এবং হিটলার ও মুসোলিনীর মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা মিউনিখ চুক্তি নামে পরিচিত । এই চুক্তি অনুসারে চেকোশ্লোভাকিয়ার সুদাতেন অঞ্চল জার্মানিকে হস্তান্তর করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং তার বিনিময়ে হিটলার চেকোশ্লোভাকিয়ার বাকি অংশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন । পরে ইঙ্গ-ফরাসি তোষণনীতির সুযোগ নিয়ে মিউনিখ চুক্তির মাত্র সাত মাস পরে ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই মার্চ হিটলার সমগ্র চেকোশ্লোভাকিয়া আক্রমণ করে দখল করেন । এইভাবে ইঙ্গ-ফরাসি পক্ষের ফ্যাসিস্ট তোষণ নীতিকে হাতিয়ার করে চেকোশ্লোভাকিয়াকে বিনাযুদ্ধে দখল করাই ছিল হিটলারের মিউনিখ চুক্তি স্বাক্ষরের মূল উদ্দেশ্য ।
জার্মানি একের পর এক আগ্রাসন নীতি অনুসরণ করে ও ইঙ্গ-ফরাসি তোষণনীতির সুযোগ নিয়ে প্রথমে অস্ট্রিয়া দখল করে । তারপর চেকোশ্লোভাকিয়ার কাছ থেকে সুদাতেনল্যান্ড দাবি করে । সুদাতেন ছিল জার্মান অধ্যুষিত অঞ্চল । জার্মানদের স্বার্থ রক্ষায় হিটলার সুদাতেনে যুদ্ধ প্রস্তুতি শুরু করে । উদ্বিগ্ন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নেভিল চেম্বারলেন বার্লিনে উপস্থিত হয়ে জার্মানির সর্বাধিনায়ক হিটলারকে নিরস্ত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেন । কিন্তু তাঁর এই প্রয়াস ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় । শেষ পর্যন্ত ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দের ২৯ শে সেপ্টেম্বর ইটালির ফ্যাসিস্ট ডিক্টেটর মুসোলিনির মধ্যস্থতায় জার্মানির মিউনিখ নামক শহরে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নেভিল চেম্বারলেন ও ফরাসি প্রধানমন্ত্রী দালাদিয়ের এবং হিটলার ও মুসোলিনীর মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা মিউনিখ চুক্তি নামে পরিচিত । এই চুক্তি অনুসারে চেকোশ্লোভাকিয়ার সুদাতেন অঞ্চল জার্মানিকে হস্তান্তর করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং তার বিনিময়ে হিটলার চেকোশ্লোভাকিয়ার বাকি অংশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন । পরে ইঙ্গ-ফরাসি তোষণনীতির সুযোগ নিয়ে মিউনিখ চুক্তির মাত্র সাত মাস পরে ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই মার্চ হিটলার সমগ্র চেকোশ্লোভাকিয়া আক্রমণ করে দখল করেন । এইভাবে ইঙ্গ-ফরাসি পক্ষের ফ্যাসিস্ট তোষণ নীতিকে হাতিয়ার করে চেকোশ্লোভাকিয়াকে বিনাযুদ্ধে দখল করাই ছিল হিটলারের মিউনিখ চুক্তি স্বাক্ষরের মূল উদ্দেশ্য ।
Comments
Post a Comment