ভারতীয় জনমানসে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রভাব

                  জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যার ঘটনাটি ছিল ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক ও পাশবিক ঘটনা।

                    1919 সালে, প্রাক-স্বাধীন ভারত ধীরে ধীরে মহাত্মা গান্ধীর সহায়তায় উত্থিত হয়েছিল।

                     অমৃতসরে ব্রিটিশরা সামরিক আইন জারি করেছিল যাতে এটি লোককে আটকে রাখার অনুমতি দিয়েছিল। সেখানে ছিল সাধারণ বার্ষিক বৈশাখী মেলা। সেখানে জড়ো হওয়া অন্যান্য শহর থেকে আসা লোকেরা আইন সম্পর্কে অসচেতন ছিলেন। তাদের নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এটি ভারতজুড়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয়। রাওল্যাট আইনও তখন কার্যকর করা হয়েছিল। এই আইনটি ইম্পেরিয়াল আইন পরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয়েছিল যা সরকারকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড দমন করার জন্য প্রচুর শক্তি দিয়েছিল।

                   জেনারেল ডায়ার দাবি করেছিলেন যে এই হত্যাকাণ্ডটি সত্যগ্রহীদের মনে সন্ত্রাস ও বিস্ময়ের অনুভূতি তৈরি করেছিল।পুলিশের সাথে ধর্মঘট ও সংঘর্ষ এবং সরকারী ভবনগুলিতে আক্রমণকারী জনগণ মূলত উত্তর ভারতীয় শহরে বাস করত।সরকার পাশবিক দমন-প্রতিক্রিয়া চালিয়েছিল।গ্রামগুলিতে ব্যাপকভাবে বোমাবর্ষণ করা হয়েছিল, লোকজনকে চাবুক মারা  হয়েছিল এবং সত্যগ্রাহীরা বেশিরভাগ অসুস্থ ছিল।এর আগে যে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়েছিল, ফলাফলটি হিংসাত্মক হওয়ায় গান্ধী তাকে থামাতে বাধ্য হয়েছিল।

                     এর ফলে খিলাফত আন্দোলনের উত্থান ঘটে যা হিন্দু ও মুসলমানদের একত্রে নিয়ে আসে।


জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের ফলে ভারতীয় জনমানসে যে প্রধান প্রভাব গুলি পড়েছিল সেগুলি হল :-
১. জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যার সংবাদ আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো উত্তর ভারত জুড়ে লোকেরা এর প্রতিবাদ শুরু করে।

২. পুলিশ ও সরকারী ভবনে লোকজন আক্রমণ করেছিল এবং তারা ধর্মঘট চালিয়েছিল।

৩. ঔপনিবেশিক সরকার পাশবিক দমন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়। সত্যগ্রাহীরা মাটিতে নাক মাখিয়ে, হামাগুড়ি দিয়ে ও অফিসারদের সালাম করে লাঞ্ছিত হয়েছিল।

৪. জনগণকে মারধর করা হয়েছিল এবং গ্রামে গ্রামে বোমা ফেলা হয়েছিল।

 ৫. মহাত্মা গান্ধী দ্রুত সহিংসতার প্রচারের কারণে এই আন্দোলন বন্ধ করেছিলেন।